শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর





শহিদুল আলমতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।

এ সংক্রান্ত এক জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) তা নাকচ করে দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদন আজ মঙ্গলবারের (১১ সেপ্টেম্বর) মধ্যে বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনটির ওপর শুনানি নিয়ে তা না মঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ্ আবু।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর শহিদুল আলমের জামিন শুনানিতে বিব্রত প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈতবেঞ্চ। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিব্রত প্রকাশ করেন। এরপর নিয়ম অনুসারে মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে চলে যায়। পরে প্রধান বিচারপতি আবেদনটি শুনানির জন্য অন্য একটি বেঞ্চ গঠন করে দেন।
প্রসঙ্গত, দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলন নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন। ওই ঘটনায় রমনা থানার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গত ৬ আগস্ট ডিবি (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের (পরিদর্শক) আরমান আলী। শহিদুলের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে রাখার আদেশ দেন। পরে গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে শহিদুল আলমের জামিন বিষয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।