শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. মাহাবুবুর রহমান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর ১৮৯টি অস্তিত্বহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাঠান। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও থানার শিক্ষা অফিসারের দেওয়া তথ্যে তৈরি করা ওই তালিকায় রাজধানীর এই তিন প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে অস্তিত্বহীন হিসেবে চিহ্নিত করেন উত্তরা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাবিকুননাহার।
অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা রাজধানীর গ্রিনল্যান্ড পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অবস্থান ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউনে। ২০১০ সাল থেকে চলছে এই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিতে মেকানিক্যাল, সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার ও অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে চার বছরের কোর্সে পাঠদান চলছে।
গ্রিনল্যান্ড পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শামশুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবার নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছে ১৩৮ জন শিক্ষার্থী। নতুন পুরাতন মিলিয়ে মোট শিক্ষার্থী প্রায় ৪০০ জন। আমাদের আসন সীমিত, প্রতিটি বিভাগে ৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করার সুযোগ রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের স্কলারশিপ ৮০০ টাকা পায় ছাত্রীরা। ছাত্রদের মধ্যে অর্ধেক ছাত্র স্কলারশিপ পায়। শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থাও সুন্দর। তাহলে কীভাবে প্রতিষ্ঠান অস্তিত্বহীন হলো তা আমার বোধগম্য নয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে চলছে এই প্রতিষ্ঠান। আমার মনে হয় যারা এই তালিকা করেছেন তাদের ভুল হয়েছে।’
প্রতিষ্ঠানের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক মো. ইমরান হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গ্রিনল্যান্ড পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নবীনবরণ অনুষ্ঠান। দীর্ঘদিন থেকে চলা এই প্রতিষ্ঠানটিকে কেন অস্তিত্বহীন লিখেছেন জানি না। ভালোমতো খোঁজ-খবর না নিয়ে লিখেছেন।’
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নাসরিন বীথি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেক আগে থেকে প্রতিষ্ঠান চলছে সুনামের সঙ্গে। যারা প্রতিষ্ঠানটিকে অস্তিত্বহীন বলেছেন তারা ভুল করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে সুনামের সঙ্গে চলছে। প্রতিষ্ঠান অস্তিত্বহীন এ তথ্য সঠিক নয়।’
এ বিষয়ে উত্তরা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাবিকুন্নাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উত্তরায় এই নামের প্রতিষ্ঠান নেই। যেসব প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যায়নি সেসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা মাউশিতে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যানবেইস থেকে আমাদের যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল সেই তালিকা অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠান খুঁজে না পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অস্তিত্বহীন হিসেবে উল্লেখ করেছি।’