সাত মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিলো মুক্ত আসর


মুক্ত আসরের সম্মাননা পাওয়া সাত মুক্তিযোদ্ধা (ছবি: সংগৃহীত)মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকসহ সাত মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছে ‘মুক্ত আসর’। শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ড. হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে এগুলো প্রদান করে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সংগঠনটি।

সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন বীর প্রতীক মো. আজাদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) মনীষ দেওয়ান, অধ্যাপক ডা. এমএসএ মনসুর আহমেদ, খোরশেদ আলম, আনোয়ার হোসেন খান, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক সিস্টার ক্যাথরিন গনসালভেস ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক সেলিনা হোসেন।

মুক্ত আসরের সভাপতি আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয়, ক্রেস্ট, বই, স্যুভেনির তুলে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদ, মুক্ত আসরের প্রধান উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) মাসুদুর রহমান বীর প্রতীক, কথাসাহিতিক ও মনোচিকিৎসক মোহিত কামাল, মুক্তিযোদ্ধা পদ্মা রহমান, সমাজসেবী রাশেদা নাসরীন ও মনোচিকিৎসক আহমেদ হেলাল।

সম্মাননা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল মনীষ দেওয়ান বলেন, ‘রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের ছাত্র থাকাবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিই। পাবর্ত্য চট্টগ্রামে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উড়াই।’

লেখক সেলিনা হোসেন বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করিনি। কিন্তু অনেক জায়গায় ঘুরেছি। বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিয়মিত চাঁদা ও কাপড় সংগ্রহের কাজে যুক্ত ছিলাম।’
অন্য মুক্তিযোদ্ধারাও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন। মুক্ত আসর একদিন বড় সংগঠন হয়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য। 
প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক মেজর (অব.) কামরুল হাসান ভূঁইয়া ও মুক্ত আসরের উপদেষ্টা আফজালুর রহমান সিনহাকে উৎসর্গ করা হয় অনুষ্ঠানটি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিস্টার ক্যাথরিন গনসালভেস প্রয়াত হওয়ায় তাঁকে স্মরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন মুক্ত আসরের সাধারণ সম্পাদক আশফাকুজ্জামান ও সাহিনা মিতা। জাতীয় সংগীত ও সবশেষে ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ গানটি পরিবেশন করে আলোক শিক্ষালয়ের শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মৌসুমী মৌ।

প্রতি বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিয়ে থাকে মুক্ত আসর। এবার ছিল তাদের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।