শহিদুল আলমের ডিভিশন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি ১ অক্টোবর

শহিদুল আলম

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে কারাবিধি অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দেওয়া নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ওপর ১ অক্টোবর শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য চেম্বার বিচারপতি ইমান আলী ওই দিন নির্ধারণ করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে, শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শরিফ আহমেদ ভূঁইয়া ও তানিম হোসাইন শাওন।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে সে আদেশটি প্রতিপালন না হওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়।

পরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আটক আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে কারাবিধি অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। শহিদুল আলমের স্ত্রী ডক্টর রেহনুমা আহমেদের দায়ের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি বোরহানউদ্দীন ও বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এরপর আদেশটি স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে সরকার পক্ষ আবেদন জানায়। আদালত তার ওপর কোনও আদেশ না দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে এ বিষয়ে লিভ টু আপিল দায়ের করতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল আবেদনটি দায়ের করা হলে তার ওপর শুনানির জন্য  ১ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম  সম্প্রতি নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন। আগস্ট ডিবি (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের (পরিদর্শক) আরমান আলী। শহিদুলের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও জোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে রাখার আদেশ দেন। এরপর গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে শহিদুল আলমের জামিন বিষয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। কিন্তু হাইকোর্ট সে জামিন আবেদন শুনতে বিব্রত প্রকাশ করেন। ফলে নিয়ম অনুসারে আবেদনটির শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন। এরপর নতুন বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি শেষে শহিদুল আলমকে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন প্রদানের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।