দুর্গাপূজা ঘিরে গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি

পুলিশ সদর দফতরে দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কিত সভাসনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ বিষয়ে কঠোর নজরদারির জন্য পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কিত সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‌‘ফেইসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে কেউ যাতে গুজব ছড়াতে বা প্রচারণা চালাতে না পারে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে, এমন প্রচারণা চালালে তা বন্ধ করা এবং তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।’

আইজিপি পূজা উদযাপন নিরাপদ করতে- প্রতিমা তৈরির সময় মন্দিরগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের ব্যবস্থা করা এবং হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারের জন্য পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় সভায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গৃহীত পদক্ষেপ ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (অপারেশনস্) সাঈদ তারিকুল হাসান।

সভায় উপস্থিত পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, পুলিশের সক্ষমতা অতীতের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেড়েছে। এসময় সারাদেশে প্রায় ত্রিশ হাজারের বেশি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে বলে জানান পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।

সভায় পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি (এএন্ডও) মো. মোখলেসুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) মো. মহসিন হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (এফএন্ডডি) মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, এপিবিএনের অতিরিক্ত আইজিপি সিদ্দিকুর রহমান, রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. আবদুস সালাম, সকল রেঞ্জ ডিআইজি ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারগণসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার, এনএসআই, ডিজিএফআই, আনসার ও ভিডিপি, ঢাকা সিটি করপোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।