‘নকল ডিম বলে কিছু নেই’

বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে সাধারণ মানুষের মাঝে সেদ্ধ ডিম বিতরণ করা হয়

‘প্রতিনিয়ত নকল ডিম নিয়ে আমাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আসলে নকল ডিম বলে আদৌ কিছু নেই। কারণ, একটা নকল ডিম তৈরি করতে যে পরিমাণ খরচ হয়, তার চেয়ে স্বাভাবিক ডিম উৎপাদনে খরচ কম।’ শুক্রবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) যৌথভাবে এ আলোচনার আয়োজন করে।

হীরেশ রঞ্জন আরও বলেন, ‘এটা মূলত ডিমের বিরুদ্ধে একশ্রেণির মানুষের গুজব।’
বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়

তিনি বলেন, ‘ডিম খাওয়ার কোনও বয়স নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই ডিম খেতে পারেন। স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে বেশি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে দেশের অপুষ্টির চিত্রও আমূল পাল্টে যাবে। তবে নকল ডিম নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। দেশে নকল ডিম নেই।’ বাণিজ্যিকভাবে নকল ডিম উৎপাদন সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
বিপিআইসিসি’র সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, ‘বাচ্চারা যেন সপ্তাহে অন্তত দুটি ডিম খায়, তা নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। গত কয়েক বছরে ডিমের দাম না পেয়ে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া ‘এইচ৯এন১’ ভাইরাসের সংক্রমণে ডিমের উৎপাদনও কমে গেছে। দেশে ডিমের উৎপাদন কমেছে অন্তত ৩০ শতাংশ। তবে উদ্যোক্তারা উৎপাদন বাড়াতে নিজেরা উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারকে তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানাই।’
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে সকালে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে কদম ফোয়ারা ঘুরে পল্টন মোড় হয়ে সিরডাপ মিলনায়তনের সামনে এসে শেষ হয়।
ডিম দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে প্রেসক্লাব, কারওয়ান বাজার, মিরপুর ও ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে ৩০ হাজার সেদ্ধ ডিম বিতরণ করা হয়েছে। এস.ও.এস শিশু পল্লী, স্যার সলিমুল্লাহ এতিমখানা, ঢাকা অরফানেজ সোসাইটির শিশুদের জন্য এবং প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সদস্যদেরকে বিনামূল্যে ১৫ হাজার ডিম দেওয়া হয়েছে।