পানছড়ির সাবেক ইউএনও’র ৮ বছরের কারাদণ্ড

আদালতখাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পৃথক দুটি ধারায় তাকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান খান ১১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে আদালত আসামির নামে থাকা ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৮ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী এ তথ্য জানান।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় তার তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামুনুর রশিদের বৈধ আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তি রয়েছে। এ অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ মার্চ তার নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে অর্জিত সম্পদ ও সম্পত্তির বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। মামুনুর রশিদ ২৩ মার্চ নিজের ও পোষ্যদের নামে (স্ত্রীর অংশ বাদ দিয়ে) ৩৭ লাখ ৫০ হাজার ১১২ টাকার স্থাবর ও ৪ লাখ ৭ হাজার ৫০১ টাকার অস্থাবরসহ সর্বমোট ৪১ লাখ ৫৭ হাজার ৬১৩ টাকার সম্পদ প্রদর্শন করেন। দুদকের অনুসন্ধানে মামুনুর রশিদ তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৬২ হাজার টাকার সম্পদ গোপন করাসহ ১১ কোটি ৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৭৫ টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন এবং তা দখলে রাখায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন শরীফ রমনা থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল জাহেদ মামলাটি তদন্তের পর চার্জশিট দাখিল করেন।