চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে সেকায়েপ শিক্ষকদের অনশন

সেকায়েপ প্রকল্পের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকদের অনশনচাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন ও ধর্মঘট করেছেন সেকায়েপ প্রকল্পের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা (এসিটি)। সোমবার সকাল ১০টা থেকে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষক এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড একসেস এনহান্সমেন্ট (সেকায়েপ) নামে এ প্রজেক্টে অর্থায়ন করে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। শিক্ষক ম্যানুয়ালে দেওয়া হয়েছিল, প্রকল্পের মেয়াদ শেষে নিয়মিত শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্তির আশ্বাস। সেকায়েপ প্রজেক্টের এসব অতিরিক্ত শিক্ষককে পরবর্তী সমন্বিত প্রকল্পে রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছিল। তাই এসিটি স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রকল্প পরিচালক। কিন্তু মাসের পর মাস বিনা বেতনে পাঠদানের পর অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা এখন ক্লাস ছেড়ে রাজপথের আন্দোলনে নেমেছেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেশ কয়েক দিন অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছেন তারা।
অনশনে অংশ নেওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর আবদুল বাতেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার খেরখেটি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু গত ডিসেম্বরে সেকায়েপ প্রকল্প শেষ হওয়ার পর চাকরি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছি।‘ তিনি বলেন, ‘এমন হাজারও তরুণ-তরুণী তাদের চাকরি এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।’
জানা গেছে, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা, অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে কোচিং নিরুৎসাহিত করা, বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতনসহ নানা ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিল এসিটি শিক্ষকরা। সেকায়েপ শিক্ষকদের কারণে দুর্গম এলাকার স্কুলগুলোতে পাসের হার বেড়েছিল। ২০১৫ সাল থেকে ২১৫ উপজেলায় এর কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার স্কুলে এসিটি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। এই শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাসের আগে এবং প্রত্যেক শুক্রবার বা অন্য ছুটির দিনেও ক্লাস নিতেন।