কোটা আন্দোলনের ৩ নেতাকে মারধর, অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন এই অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ‌‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) 'ঘ' ইউনিটের পরীক্ষা পুনরায় নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন কোটা আন্দোলনকারীরা। মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে আড্ডা দেওয়ার সময় তাদের ওপর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী হামলা চালায়। এতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আতাউল্লাহ, তুহিন ফারাবি ও রাতুল সরকার আহত হন। তাদের সবাইকে রাজধানীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আলী রিমন, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক সোলাইমান হোসেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক উপ-সম্পাদক জাকিউর রাফিদ নাফি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন হাসান আল মামুন।

হাসান আল মামুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ঘ ইউনিটের পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে মিলন চত্বরে কয়েকজন মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন এসে আমার সঙ্গে থাকা অন্যদের ‘ইভটিজার’ বলে মারতে শুরু করেন। হামলাকারী কয়েকজন আমার পরিচিত। তারা অনেকেই জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তবে, তারা আমাকে মারধর করেনি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউল্লাহকে ব্যাপক মারধর করে তারা।

অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজকে আমরা তো সবাইকে নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে ব্যস্ত ছিলাম। তারা অভিযোগ করলে তো হবে না। ছাত্রলীগ মারধর করেছে এমন প্রমাণ দিলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।’