‘মানুষের কাছে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে’





৪৪৪৪

নির্বাচনের আগে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে মানুষের কাছে যাবে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’। সেইসঙ্গে নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনও অপশক্তি যাতে নতুন করে অঘটন ঘটাতে না পারে সেদিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংগঠনটির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সময় এসেছে আমাদের আবারও ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬৯ আর ১৯৭১-এর মতো একত্রিত হয়ে হিংস্র শকুনের দলকে রুখে দেওয়া। আমরা হাজার বছরের ইতিহাস, মিলন আর সম্প্রীতির ইতিহাস। ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িকতার সেখানে স্থান নেই, স্থান নেই একাত্তরের পরাজিত শক্তির। ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ জলাঞ্জলি দিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সামনে আরেকটি জাতীয় নির্বাচন আসছে। আমাদের আশঙ্কা এই নির্বাচনকে সামনে রেখে অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি নতুন করে মাথাচাড়া দিতে পারে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনও অপশক্তি যেন নতুন করে কোনও অঘটন ঘটাতে না পারে, সেদিকে আমাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। নির্বাচনের আগে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে আমরা মানুষের কাছে যাবো। আমার ভোট আমি দেবো, তবে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দেবো।’
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘এ বছর এখন পর্যন্ত তিনটি বড় ধর্মীয় উৎসব পালিত হয়েছে কোনও অঘটন ছাড়াই। দেশের মানুষের সম্প্রীতি মনোভাবের কারণেই অন্ধকারের কুশীলবরা কোনও অঘটন ঘটাতে পারেনি। প্রবারণা পূর্ণিমা ও বড়দিনও নির্বিঘ্নে পালিত হবে। দেশের মানুষ সব ধরনের অপশক্তি রুখে দিতে প্রস্তুত।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রের নামে দেশে অঘটন ঘটিয়েছে আমরা সেই শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে চাই না। আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সম্প্রীতির দেশ রক্ষায় নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে। এর বিকল্প মানেই সম্প্রীতি নষ্ট, নির্যাতন, একাত্তরের পরাজিত শক্তির উত্থান।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. অসিম কুমার সরকার, ডা. মামুন আল মাহতাব, ডা. নুজহাদ চৌধুরী প্রমুখ।