মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসনিক উন্নয়ন ও সমন্বয় অধিশাখা) মো. আব্দুল বারিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ১৫ মে এক শিক্ষক সমাবেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর সহকারী শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা পেলেও বাদ পড়েন একই গ্রেডে নিয়োগ পাওয়া শরীরচর্চা বিষয়ক শিক্ষকরা।
এরপর মর্যাদা বঞ্চিত শরীরচর্চা শিক্ষকরা হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। ওই রিট শুনানি শেষে আদালত ২০১৪ সালের ১৪ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শরীরচর্চা শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পদটি তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার প্রস্তাব দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। এই প্রস্তাবের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে উত্থাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায়। দীর্ঘ-প্রক্রিয়ার পর বৃহস্পতিবার কমিটির সভায় প্রস্তাবটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
মাউশি থেকে জানা গেছে, শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বর্তমানে ২২০টি। তবে সারাদেশে বর্তমানে ১৬৩ জন শরীরচর্চা শিক্ষক কর্মরত। বাকি পদে এখন নিয়োগ দিতে হলে পিএসসির মাধ্যমে অনুমোদন প্রয়োজন হবে।