ব্যর্থতার ভয় কাটিয়ে প্রতিদিন লিখে যান: আরিফ আনোয়ার





45424042_351896132231911_8943162649567297536_nঢাকা লিট ফেস্টের অষ্টম আসরের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (৯ নভেম্বর) বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান লেখক আরিফ আনোয়ারের প্রথম উপন্যাস ‘দ্যা স্টর্ম’ নিয়ে হয় প্রাঞ্জল আলোচনা। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস বুক রিভিউয়ে প্রশংসিত ‘দ্য স্টর্ম’ প্রসঙ্গে লেখক বলেন তার লেখালেখির অন্তরালের গল্প। তার ভাষ্য, ব্যর্থতার ভয় কাটিয়ে প্রতিদিন লিখে যাওয়ার চর্চাই তাকে লেখক করে তুলেছে।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রিফাত মুনিমের এক প্রশ্নের জবাবে আরিফ আনোয়ার বলেন, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস বুক রিভিউ প্রত্যাশারও বেশি, অন্তত প্রথম এই উপন্যাসের বেলায়।
‘দ্য স্টর্ম’ মূলত অনেকগুলো গল্পকে এক করেছে। বিশেষত চরিত্রের নাটকীয়তা, তৎকালীন বার্মা, ভারত, বাংলাদেশ ছাড়াও আমেরিকায় ভয়ঙ্কর কিছু দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট মানব বিপর্যয়ের দিকগুলি যেকোনও পাঠকের হৃদয়ে আঁচড় কাটতে সক্ষম।
গল্পের ভাবনা বা প্রেক্ষাপট বিষয়ে আরিফ জানান, গল্পটি কখনও খুব বেশি সাজানো ছিল না। নিয়মিত লেখার অভ্যাসটা বিগত তিন-চার বছরের, ক্লাস করেছি ছোট ছোট প্রজেক্টে লেখার অভ্যাস নিয়ে, ছোট ছোট গল্পও লিখেছি বিভিন্ন সময়ে, কিন্তু ‘দ্য স্টর্ম’-এর মূল ভাবনাটা আসে একদিন টরোন্টোর একটি পার্কে জগিং করতে করতে।
চট্রগ্রামের সন্তান আরিফ আনোয়ার আলাপের একপর্যায়ে ‘দ্য স্টর্ম’ উপন্যাসে চরিত্রের চিত্রায়ন ও গল্পের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করতে গিয়ে সমুদ্রের প্রখরতা, প্রতিটা নদীর নিজেকে সমুদ্রে বিসর্জন, গ্রামীণ জনপদের সরলতা আর একজন প্রবাসি বাঙালি হিসেবে জীবনের চড়াই-উতরাই সম্পর্কে কথা বলেন।
সাহিত্যে নতুন লেখক ও তাদের সম্ভাবনা বিষয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক দর্শকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, লেখালেখি একটা চলমান প্রক্রিয়া। একজন ভালো, গ্রহণযোগ্য লেখক হওয়ার পূর্বশর্তই হলো প্রচুর বই পড়া। একটি বুক শেলফেই সাজানো আছে হাজারও নির্দেশনা, বিষয়বস্তু। ভালো বই একের অধিকবার পড়া এবং ব্যর্থতার ভয় না পেয়ে প্রতিদিন লিখে যাওয়া।