লেখকের সৃষ্টিশীলতার মূল উৎস কোথায়?

একজন লেখক যখন একটি লেখা শুরু করেন তখন তার মনে কী সব ভাবনা খেলা করে? লেখকের এই সৃষ্টিশীলতার শুরুর কথা জানতেই ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে আয়োজিত হয়ে গেল ‘হোয়্যার ডু দে কাম ফ্রম?’ শীর্ষক আলোচনাটি। ভাস্কর নভেরা প্রদর্শনী কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলার মঞ্চটিতে উপস্থিত ছিলেন ভিন্ন দেশের কয়েকজন লেখক। এই তালিকায় ছিলেন ভারতের হিমাঞ্জলি সংকর, চন্দ্রহাস চৌধুরী, অরূপ স্যানাল এবং সুদূর জার্মানির ওলগা গ্র্যাগাসনোয়া।

SAZZ3209
শুরুতেই লেখকদের উদ্দেশে সঞ্চালকের দায়িত্বে থাকা অরূপ স্যানালের প্রশ্ন, ‘প্রথম লেখা বা সৃষ্টিশীলতার উৎস কী? এই লেখনির পেছনে কি শৈশব বা কৈশোরের কোনও স্মৃতিবিজড়িত ঘটনা, লেখকদের পরিবার কিংবা জীবনের কোন ঘটনা জড়িত? যাকে বলা যেতে পারে জীবন থেকে নেওয়া?’ হিমাঞ্জলি সংকর বলেন, ‘এটা অনেকটাই এসেছে আমার পরিবার কিংবা কৈশোরের স্মৃতি থেকে। আর প্রতিটি লেখাই একটি থেকে অন্যটি ভিন্ন। তাই প্রতিটি লেখার পেছনেই জীবনের বিভিন্ন মুহূর্ত কাজ করেছে।’

SAZZ3222

লেখক চন্দ্রহাস চৌধুরী বলেন, ‘শুধু নিজ জীবনটাই না, পাঠকের জীবন কিংবা ভাবনাও একটা বড় স্থান পায় লেখনিতে। আর এভাবেই একেকটি উপন্যাসের যাত্রা শুরু হয়।’  




ওলগা গ্র্যাগাসনোয়া তার প্রথম মনোজগতভিত্তিক বইটিতে বেছে নিয়েছিলেন একজন রোগীর প্রাত্যহিক জীবন। লেখার এই ধারণাটি এসেছিল তার বাবা-মা’র এক বন্ধুর কাছ থেকে। ওলগার ভাষায় ‘তবে আমি শুধু একজন রোগীর উপরেই পুরো বইটি লিখিনি। কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা বলবার জন্য আমাকে অনেক জায়গায় ভ্রমণও করতে হয়েছে।’
যেখানে পাঠকের জীবন আর লেখকের ভাবনা একসঙ্গে খুঁজে পাওয়া যায়, সেখানেই একজন লেখকের সার্থকতা- এমনটা মনে করেন বক্তারা।