‘মি টু’ একই সঙ্গে নারী এবং পুরুষের আন্দোলন

‘মি টু’ আন্দোলন, বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু ‘মি টু’ কি শুধুই নারীদের আন্দোলন? একইসঙ্গে মি টু নারীদের জন্য কতটা সহযোগিতামূলক? এই ধরনের প্রশ্নোত্তর নিয়েই আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ অডিটোরিয়াম এর মূল মঞ্চে আয়োজিত হয়ে গেল এক আলোচনা সভার। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী বন্যা মির্জা, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নি সাহা, দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার সাংবাদিক জাইমা ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নারী আন্দোলনকর্মী রিতা দাশ রায়।

45662312_2221441994762786_2421177582784348160_n
আলোচনার শুরুতেই রিতা দাশ বলেন, ‘দৈনন্দিন জীবনে শুধু নারীরাই নয়, অনেক ছেলে শিশুও কিন্তু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়।’ কিন্তু সেটা রয়ে যায় আমাদের অগোচরে। তাই মি টু শুধু নারীদের নয় একইসঙ্গে পুরুষদেরও আন্দোলন হওয়া চাই।’
কিন্তু মি-টু কতটা পারবে নারীকে নিরাপত্তা দিতে? এ প্রসঙ্গে রিতা দাস বলেন, ‘বাংলাদেশে নারী নির্যাতনবিরোধী যত আইন আছে, তার সবগুলো কি পেরেছে নারীকে নিরাপত্তা দিতে? তাই মি টু আন্দোলন হওয়া চাই নারীর প্রতিবাদের হাতিয়ার। কিন্তু নারীর নিজেকে আগে হতে হবে শক্তিশালী। আর সেটা শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন দিয়ে নয়, হতে হবে পরিবার, শিক্ষা এবং সমাজ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে।’
একই প্রসঙ্গে জাইমা ইসলাম বলেন, ‘মি টু শুধু সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। একজন নারীকে সেই সঙ্গে এই প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার মানসিকতা ও সাহস রাখতে হবে।’
কিন্তু একজন গ্রামীণ নারী কিংবা নারী শ্রমিকেরা কি পারবে এই মাধ্যমের মধ্য দিয়ে লড়তে? এ প্রসঙ্গে মুন্নি সাহা বলেন, ‘শুধু মি টুভিত্তিক আন্দোলনই নয়, পুরো সমাজ এবং প্রতিটি নাগরিককে সচেতনতার মধ্য দিয়েই একেকটি আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আর এভাবেই একটি আন্দোলন টিকে থাকতে পারে সময়ের সঙ্গে।’