অনুবাদই পারে বিশ্বকে বাংলা সাহিত্য চেনাতে

 

45708494_193609674898362_4085975669140357120_n‘ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৮’-এর দ্বিতীয় দিনে বিকালের সেশনে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আলোচনা হয় অনুবাদ শিল্প ও এর বর্তমান অবস্থা নিয়ে। গত চার বছর ধরে বাংলাদেশের সাহিত্যকে বহির্বিশ্বের অঙ্গনে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে ‘ঢাকা ট্রান্সলেশন সেন্টার’। তাদের উদ্যোগেই শুরু হয়েছে নতুন কার্যক্রম, নাম— ‘লাইব্রেরি অব বাংলাদেশ’।

‘ঢাকা ট্রান্সলেশন সেন্টার’ শীর্ষক এ আলোচনায় যোগ দিয়ে শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও অনুবাদক কায়সার হক, লেখক, অনুবাদক ও সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম এবং অনুবাদক পুষ্পিতা আলম তাদের নিজেদের অভিমত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লেখক ও প্রাবন্ধিক রিফাত মুনিম।

শুরুতেই ‘ঢাকা ট্রান্সলেশন সেন্টার’-এর সূচনা নিয়ে কায়সার হক বলেন, কাজী আনিস আহমেদের নিজস্ব চিন্তা ও সবার পরিশ্রম দিয়ে শুরু হয় এর কার্যক্রম।
এ সময় খাদেমুল ইসলাম যুক্ত করেন, ‘পৃথিবীকে বাংলাদেশের সাহিত্যকে চেনানোর জন্য এছাড়া (অনুবাদ) আর কোনও উপায় নেই।’
বাংলা ভাষার সাহিত্য ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করলে এর বহুমাত্রিকতা প্রকাশ পায়’—বলেন আলোচক পুষ্পিতা আলম। তিনি বলেন, ‘লাইব্রেরি অব বাংলাদেশ’-এর অবদানে আমাদের সাহিত্যে গুণগত মানের অনুবাদ পাওয়া যাচ্ছে।
রিফাত মুনিম অনুবাদের উন্নয়নের জন্য ডিজিটালাইজেশনকে গুরুত্ব দেওয়ার মত দেন। বলেন, ফিকশনের অনুবাদকে গুরুত্ব দিতে হবে।
‘লাইব্রেরি অব বাংলাদেশ’-এর কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১২টি গল্প, উপন্যাস ও কবিতার বই অনুবাদ করা হয়েছে।
খাদেমুল ইসলামের মতে, অনুবাদের উন্নয়নে তরুণ অনুবাদকদের এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে কায়সার হক নিজের অনূদিত শহীদ কাদরীর ‘বৃষ্টি বৃষ্টি’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন। ইংরেজিতে কবিতাটির নামকরণ করেছেন তিনি ‘রেইন রেইন’।