জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে ৮ এনজিও কর্মী রিমান্ডে

আদালত

রাজধানী পল্লবীর ডিওএইচএস এলাকায় জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আট এনজিও কর্মীকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আশিক ইমাম প্রত্যকের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলো- মো. সাফ ওয়ানুর রহমান, সুলতান মাহমুদ, মো. নজরুল ইসলাম, মো. আবু তাহের, মো. ইলিয়াস মৃধা, মো. আশরাফুল আলম, হাসনাইন ও মো. কামরুল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম পল্লবী থানায় সন্ত্রাস বিরোধ আইনে প্রত্যকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম এই রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়- স্মল কাইন্ডনেস বাংলাদেশ (এসকেবি) নামের এনজিওটি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের মতাদর্শের অনুসারীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে পাকিস্তান, তুরস্ক, ফিলিপাইন, কানাডা, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ইসলাম ভিত্তিক সংস্থা থেকে অনুদান সংগ্রহ করে। পরে বিভিন্ন জঙ্গিদের কার্মকাণ্ডে অর্থায়ন করে থাকে। এছাড়াও এই এনজিও কর্মীরা ইন্টারনেট ও কম্পিউটারের সাহায্যে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতো এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাত।

অভিযোগে আরও বলা হয়, পাকিস্তান ভিত্তিক সংগঠন আল খিদমত ফাউন্ডেশন উক্ত এনজিও এসকেবির মাধ্যমে রোহিঙ্গা শিবিরে জঙ্গিবাদী প্রচারণা ও কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এনজিওর কার্যক্রমের আড়ালে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির হতে তাদের সংগঠনের জন্য সদস্য সংগ্রহের কাজে জড়িত ছিল।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এসআই আশরাফুল হক বাবু এসব অভিযোগে মামলাটি দায়ের করে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে পল্লবী থানার ডিওএইচএস-এ অবস্থিত ৯ নম্বর রোডের স্মল কাইন্ডনেস বাংলাদেশ নামের এনজিও অফিসে অভিযান চালিয়ে এই আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।