'জাতি একত্রিত হলে বিশ্বে যেকোনও কিছু করা সম্ভব'

জাতি একত্রিত হলে বিশ্বে যেকোনও কিছু করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় আধুনিক বাংলা কবি হায়াত সাইফের সঙ্গে নিজের বই ‘চ্যারিয়ট অব লাইফ’ সম্বন্ধে বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।

45690764_371057690302025_6326877608902393856_n
তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ জনমানুষের যুদ্ধ ছিল। আমি বিশ্বাস করি, জাতি একত্রিত হলে বিশ্বে যেকোনও কিছু করা সম্ভব। নিজের লেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই বইটিতে দুটি জীবনের ভিন্ন গল্প আছে। একটি যুদ্ধের সময়ের, আরেকটি ২০০৮-এর আমার জীবনের। এটা মুক্তিযুদ্ধের কোনও ইতিহাস না। আমার জীবনের গল্প। জেলে থাকা অবস্থায় আমার চারপাশ এবং আমার সমান্তরাল জীবন। যখন জেলে ছিলাম তখনকার গল্প আমার মনে হয় তরুণ প্রজন্মের জানা উচিত। কি দেখেছিলাম, কি হয়েছিল সবই আছে। বইয়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের সারসংক্ষেপ, তরুণ সরকারি চাকরিজীবীর যোদ্ধা হয়ে ওঠার গল্প, মুক্তির সংগ্রামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।’

কীভাবে সাজালেন বইটি- হায়াৎ সাইফের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় কিছুটা গোছানো ছিল। প্রথমে একটি জার্নাল তৈরি করে প্রকাশকের সঙ্গে কথা বললাম। তিনি আমাকে বললেন, আপনার জীবনে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে সেগুলো তুলে ধরুন। ছোট ছোট বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল- আমাদের জীবনের ছোট ছোট গল্প দিয়েই বড় কিছু করা যায়। প্রত্যেকের জীবনেরই কিছু গল্প থাকে বলার। তিনি আরও বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণ কোনও সাধারণ বক্তৃতা নয়, আমাদের মতো তরুণদের উজ্জীবিত হওয়ার মন্ত্র ছিল। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমি ভাষা আন্দোলন দেখেছি। এসব বিষয়ে উল্লেখ করা আছে বইতে। ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই আমার লেখার সূচনা হয়েছে। আমি আমাদের অতীত নিয়ে গর্ব করি। হাজার বছরের ইতিহাস আছে আমাদের। আমরা সেখান থেকেই এসেছি। এই বইটি আগামী বইমেলায় বাংলায় প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠান শেষে হায়াৎ সাইফ বলেন, আমাদের নিজেদের ভাষার সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা নেই তাদের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য বই হতে পারে। আমাদের ইতিহাসের গভীরে যাওয়ার একটি মাধ্যম হতে পারে এই বই।