বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রানওয়ের চারপাশে রয়েছে কয়েকটি জলাশয়। এসব জলাশয়ের মাছ, কীটপতঙ্গ, জলজ উদ্ভদ পাখিদের আকষর্ণীয় খাবার। বিমানবন্দরের পশ্চিমে বাউনিয়া এলাকাটি মূলত গ্রামীণ পরিবেশে ভরপুর। রানওয়ের পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশে রয়েছে ঘাস ও ঝোপঝাড়। এছাড়া,বিমানবন্দরের চারপাশে জনমানুষের সমাগম কম থাকায় এসব এলাকা পাখিদের অবাধ বিচরণ। জলাশয়ের মাছ ও পোকামাকড় খেতে আসে পাখিরা। এছাড়া, রানওয়ের চারপাশের সবুজ ঘাসও পাখিদের পছন্দ। রানওয়ের চারপাশ থেকে পাখি সরানোর জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরে রয়েছে বার্ড শুটার। তবে কম জনবল থাকায় এ কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের পাখি সরাতে এক সময় উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্র থাকলেও বর্তমানে তা কার্যকর নেই। বর্তমানে শুধুমাত্র বার্ড শুটাররা বন্দুক দিয়ে পাখি তাড়ানোর কাজ করছেন, যদিও বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে লেজার লাইট, আলট্রা সাউন্ডের মাধ্যমে পাখি তাড়ানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা জানান, উড়ন্ত বিমানের ইঞ্জিনে পাখি প্রবেশ করলে বেশি ক্ষতি ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। ইঞ্জিনের ফ্যান-ব্লেড ও স্পিনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ইঞ্জিন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বার্ড হিটের ঝুঁকি থাকলে পাইলটদেরও মানসিক চাপে থাকতে হয়।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর এ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পাখি তাড়াতে বার্ড শুটারের বিকল্প নেই। সাউন্ড দিয়ে পাখি সরানোর যন্ত্র আমাদের ছিল, এগুলো এখন নেই। এসব যন্ত্রে খুব বেশি একটা কাজও হয় না। আমরা সার্বক্ষণিক সর্তক থাকি, যেন কোনও ধরনের ঝুঁকির সৃষ্টি না হয়।’
ছবি: নাজমুস সাকিব