জামিন পেলেন শহিদুল আলম

শহিদুল আলম

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ  তাকে জামিনের এ আদেশ দেন।

আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান।

এর আগে গত ৭ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় জামিন আবেদন করলে আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর এ মামলায় তার জামিন বিষয়ে হাইকোর্টে রুল শুনানি হয়। শুনানিকালে সড়ক আন্দোলন নিয়ে আল জাজিরা টেলিভিশনে দেওয়া শহিদুল আলমের  সাক্ষাৎকার ও লাইভ ভিডিওগুলো দেখাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে  ভিডিও ফুটেজগুলো প্রজেক্টরের মাধ্যমে আদালতের সামনে প্রদর্শিত হয়। এরপর গত ১ নভেম্বর হাইকোর্ট শহিদুল আলমের জামিন আবেদন আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।

পরে  শহিদুল আলমের জামিন চেয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চে ফের আবেদন জানানো হলে আদালত শহিদুল আলমকে জামিন দেন।

প্রসঙ্গত, দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম  ছাত্র আন্দোলন নিয়ে সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন। ওই ঘটনায় রমনা থানার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।  গত ৬ আগস্ট ডিবি (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে এ মামলায় শহিদুল আলমকে কারাগারে হাজির করা হলে গত ১২ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী।