জাপার মনোনয়ন প্রত্যাশী মোস্তফার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা আল মাহমুদের স্ত্রী নুজহাতুন নেছা ও দুই সন্তানস্ত্রী ও সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ উঠেছে  সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোস্তফা আল মাহমুদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) ক্রাইম রিপোর্টার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মোস্তফা আল মাহমুদের স্ত্রী নুজহাতুন নেছা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আমার স্বামী জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তফা আল মাহমুদ আমাকে ও আমার দুই সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি আমাদের ছেড়ে গুলশানে বিলাসবহুল বাড়িতে অবস্থান করছেন। শুধু তাই নয়  আমার চাচাতো বোনের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্কে রয়েছে। আর এ ব্যাপারে বাধা দেওয়ায় আমাদের ওপরে অত্যাচার ও হত্যার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন তিনি।’

নুজহাতুন নেছা আরও বলেন, ‘১৯৯৯ সালের ৬ আগস্ট পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়। ২০০৩ সালে যখন আমার সন্তান হয়, এর ছয় মাসের মাথায় মোস্তফা হঠাৎ চীনে চলে যান। তার কিছু দিন পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ২০০৪ সালে আমি খবর পাই, আমার স্বামী চীনে বসে ফের বিয়ে করতে যাচ্ছেন। সেই সংবাদ পেয়ে আমি নিজের গহনা বিক্রি করে সন্তানদের নিয়ে চীনে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে বসবাস শুরু করি। সেখানে মোস্তফার সব অপকর্মের প্রতিবাদ জানালে আমাকে প্রায়ই তিনি মারধর করতেন। মোস্তফা এরপর সেকেন্ড হোমের কথা বলে আমাকে মালয়েশিয়াতে নিয়ে যান। মালয়েশিয়াতে থাকাকালেও তিনি প্রায়ই  প্রতিদিনই আমাকে মারধর করতেন।  একদিন মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেন।  আমি মারা গেছি ভেবে তিনি একঘণ্টার মধ্যে  মালয়েশিয়া ত্যাগ করেন। পরে জানতে পারি যে,   মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই আমাকে মালয়েশিয়াতে নিয়ে গিয়েছিল তিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামীর বর্তমানে ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় ব্যবসা আছে, যার দেখভাল করেন আত্মীয়-স্বজনরা।  এছাড়া, মোস্তফা আল মাহমুদ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। তিনি যেখানে স্ত্রী-সন্তানের খোঁজ রাখেন না, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে কীভাবে এলাকার মানুষদের খোঁজ রাখবেন, এটি ভাববার বিষয়।’

নুজহাতুন নেছা বলেন, ‘আমার দাবি, সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে মোস্তফার প্রতি ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং মোস্তফার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হোক।’