প্রসঙ্গত, যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল থেকে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৬৫ জন। এরমধ্যে ৫০৮ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত প্রায় ২২ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছিল।
ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফি ১৯০০ টাকা। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করে ৬৫০০ টাকা। ফরম পূরণের সময় সরকার নির্ধারিত ফি’ ছাড়াও বিশেষ ক্লাস ফিসের জন্য ৩ হাজার ৬০০ টাকা করে ও মডেল টেস্ট পরীক্ষার ফিসের নামে ১ হাজার টাকা করে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছিল। রবিবার ৪৮০ জন ও সোমবার ২৮ জন পরীক্ষার্থীকে অতিরিক্ত আদায় করা টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান জানান, ‘বিশেষ ক্লাস ফিস ও মডেল টেস্ট পরীক্ষা ফিস হিসেবে নেওয়া টাকা পরীক্ষার্থীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী আইডিয়ালের মতো রাজধানী আরও অনেক স্কুল আছে, যেখানে ফরম পূরণের সময় অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে। অন্য স্কুলগুলোয়ও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অভিযান চালায় দুদক। দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ এই অভিযান সমন্বয় করেন। অভিযানে সরাসরি অংশ নেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান ও উপসহকারী পরিচালক জিএম আহসানুল কবীর।
অভিযানের সময় অতিরিক্ত ফি হিসেবে আদায় করা টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান। পরে এ বিষয়ে টানানো নোটিশে বলা হয় ‘এসএসসি পরীক্ষা ২০১৯’র পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ব্যাপারে কোনও অভিভাবক আপত্তি দিলে তার অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’