ওয়েল্ডিংয়ের ফুলকি থেকে আগুনের সূত্রপাত

এই বিরিয়ানি হাউজেই আগুন লাগেরাজধানীর গুলশান-১ চত্বরের নাভানা টাওয়ারের ১৮ তলার বারান্দায় গ্রিল ঝালাইয়ের কাজ চলছিল। ওয়েল্ডিংয়ের সময় সেখান থেকে আগুনের ফুলকি ঝরে পড়ে ভবনের নিচের প্লাস্টিক ও ময়লার স্তুপের ওপর। আর তাতেই আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ফলে ভবনের পাশের গলির ‘মা-বাবার দোয়া বিরিয়ানি হাউজ’ দোকানটির তেমন ক্ষতি হয়নি।

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টা ১০মিনিটে রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে নাভানা টাওয়ারের পাশের গলিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট এসে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

নাভানা টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সের মালিক সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নাভানা টাওয়ারের ১৮ তলায় একটি গ্রিলে ওয়েল্ডিংয়ের ঝালাই কাজ চলছিল। ঝালাই কাজ চলার সময় উপর থেকে আগুনের ফুলকি নিচে পড়তে থাকে। আর এতে গলির নিচে থাকা প্লাষ্টিক ও ময়লার স্তুপে আগুন ধরে যায়।’

তিনি বলেন, নাভানা টাওয়ারের ১ থেকে ৫ তলা পর্যন্ত শপিং কমপ্লেক্সে। ৬ তলা থেকে ১৫ তলা পর্যন্ত বিভিন্ন অফিস কার্যালয় এবং ১৬ তলা থেকে ২২ তলা পর্যন্ত আবাসিক ভবন। ওয়েল্ডিংয়ের কাজটি হচ্ছিল ১৮ তলায় কোনও ফ্ল্যাটে। কিন্তু তারা যে আজ গ্রিল ঝালাইয়ের কাজ করবে সেটি এই ভবনের কর্তৃপক্ষসহ কোনও ইউনিটিকে জানানো হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে আগুনের ঘটনাটি ঘটেছে, তার কিছু দূরেই রয়েছে ভবনের সমস্ত গ্যাস সংযোগের রাইজার। যেখানে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। ফায়ার সর্ভিসের কর্মীরা সঠিক সময় এসেছিলেন। যদি তাদের আসতে দেরি হতো, তবে অনেক বড় ধরণের বিপদ ঘটতে পারতো।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, নাভানা টাওয়ারের নিচতলায় প্রায় ২৫ বর্গফুটের একটি গোডাউনের মতো ছিল। সেখানে প্লাস্টিকের স্তুপ ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

নাভানা টাওয়ারের শপিং কমপ্লেক্সের দোকানিরা জানান, নাভানা টাওয়ারের পাশে ওই গলিতে পুরো ভবনের গ্যাস লাইনের রাইজার রয়েছে। আগুন লাগার পর যদি দ্রুত সেটি নেভানো সম্ভব না হতো, তবে গ্যাস লাইনেও লেগে যেতে পারতো।