মঙ্গলবার আস্থা (স্ট্রেনদেনিং অ্যাকসেস টু মাল্টি-সেক্টরাল পাবলিক সার্ভিসেস ফর জিবিভি সারভাইভার্স ইন বাংলাদেশ) প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিপা হাফিজা। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়নে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসক।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম বলেন, ‘ একা কেউ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকের সহযোগিতা দরকার। আমরা যে কাজগুলো করছি, তা বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে করলে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারবো। নারী পুরুষ একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে নারীর প্রতি সহিংসতা কমে আসবে।’
নাসিমা বেগম বলেন, ‘আমরা জয়া অ্যাপস চালু করেছি। এর মাধ্যমে সহিংসতার শিকার নারী তাৎক্ষণিক মোবাইল টাচ করেই অনেক ছবি তুলে ফেলতে পারবে।’
শিপা হাফিজা বলেন, ‘জেন্ডারবেইজড ভায়োলেন্সের প্রধান দিক হচ্ছে নারীকে ছোট করে দেখা। নারী তার চেয়ে দুর্বল এই প্রবণতা থেকেই নারীর প্রতি সহিংসতা হয়ে থাকে। দেশে প্রতি পাঁচজন বিবাহিত নারীর তিনজনই সহিংসতার শিকার হন।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন— সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবিদা আখতার, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক ডা. শাহেদ ইকবাল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল) অধ্যাপক সানায়া তাসনিম, আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর জেসমিন আরা বেগম, লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস অর্গানাইজেশনের পরিচালক মো. জাফরুল হাসান, ইউএনএফপি এর ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইকো নারিতা (পিএইচডি) ও বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভোরয়েজ।
উল্লেখ্য, আস্থা প্রকল্পটি নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা রোধে ২০১৭ সাল থেকে কাজ করছে। চার বছর মেয়াদী এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। দেশের চারটি জেলা–জামালপুর, পটুয়াখালী, বগুড়া ও কক্সবাজারের ১২টি উপজেলার ১০২টি ইউনিয়ন পরিষদে কাজ করছে। চারটি বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠনের মাধ্যমে আস্থা প্রকল্পটি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য নারী ও কন্যা শিশুর ওপর জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং দ্রুত সাড়া ও সেবা প্রদানে সরকারি ও বেসরকারি মাল্টিসেক্টরাল সেবাসমূহের যথাযথ ব্যবহার বাড়ানো। সরকার, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি সেবাদানকারি সংগঠনের প্রচেষ্টাকে আরও বেশি কার্যকরী করে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোও এর কাজ।