স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীর বীরত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ সমাজে স্থান পায়নি

তারামন বিবি বীরপ্রতীকের স্মরণসভায় বক্তারা

স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীর যে বীরত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ, সেভাবে নারীরা সমাজে স্থান পায়নি। একারণেই অনেক নারী মুক্তিযোদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক।

বৃহস্পতিবার ১৩ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত  'বীরপ্রতীক তারামন বিবির স্মরণ সভা'য় তিনি এসব মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নারী জাগরণের কথা অনেকেই জানেন না। ৭১-এর ১৩ অক্টোবর সম্মুখ যুদ্ধে এই বীরপ্রতীক তারামন বিবি অংশ নিয়েছিলেন। এতে ১৩ জন পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকারের মৃত্যু হয়। নারীদের এই অবদানের স্বীকৃতি দিতে আমরা অনেক দেরি করেছি। স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীর যে বীরত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ, সেভাবে নারীরা সমাজে স্থান পায়নি। একারণেই অনেক নারী মুক্তিযোদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করেছেন। 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, সেদিন শত সহস্র নারী বিভিন্নভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তারামন বিবি হচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নারীর যে অংশগ্রহণ, তার একটি প্রতীক। ৫২-৭১ এর পর্যন্ত প্রতিটি গণতান্ত্রিক সংগ্রামে নারীর ভূমিকাকে প্রকাশ করতে কুণ্ঠা বোধ করি, যার পরিবর্তন করা দরকার। যখন আমরা একজন মুক্তিযোদ্ধাকে স্মরণ করবো ও তার সাহস নেবো, পাশাপাশি তার স্বপ্নও নেবো।

স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে নারীর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকায় একটি স্মৃতিসৌধ গড়ার দাবি জানান নাসিমুন আরা হক।