দূতাবাসের শ্রম উইং এর কর্মকর্তা ওসমান গণির পরিচালনায় এসময় প্রবাসীদের নানা সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আরমান উল্লাহ চৌধুরী। দূতাবাসে সেবা নিতে আসা প্রবাসীরা সভায় তাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন পাশাপাশি দূতাবাসের সেবার মান বাড়ানোর দাবি জানান। এসব দাবির প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সকল প্রবাসীদের জন্যে সেবা প্রদান করতে দূতাবাসের দরজা সবসময় উম্মুক্ত রয়েছে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানোর হিসেবে সৌদি আরবের পরেই আমিরাতের অবস্থান। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী দেশের মোট রেমিটেন্সের ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ আসে আমিরাত থেকে। বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)'র হিসাব অনুযায়ী ১৯৭৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিভিন্ন সময় প্রবেশ করেছেন ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯১জন। শ্রমিক ভিসা বন্ধ থাকায় গত দুই বছরে শ্রমিক প্রেরণের হার হ্রাস পেয়েছে। ২০১৭ সালে শ্রমিক ভিসায় আমিরাতে যান ৪,১৩৫ জন এবং ২০১৮ ( অক্টোবর পর্যন্ত) ২,৫৯৯ জন। বর্তমানে আরব আমিরাতে প্রায় ৭ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশায় কর্মরত রয়েছেন।