সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে ভোট করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি হয়নি



হাইকোর্টআসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফল প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর উচ্চ আদালতের অবকাশ শেষে (আগামী ২ জানুয়ারির পর) শুনানি করা হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।


বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী ঢাকা-৮ আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী।
ড. ইউনুছ আলী আকন্দ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ রিটের শুনানি হয়নি। আবেদনটির ওপর সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শেষ হওয়ার পর শুনানি করা হবে বলে আদালত আজ আদেশ দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘রিটে সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফল প্রকাশের নির্দেশনা চেয়েছিলাম। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের অবকাশের পর এ গ্রাউন্ডের ওপর শুনানি না হলেও রিটে আরও যেসব আর্জি জানানো হয়েছে তার ওপর শুনানি করা হবে।’
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করা হয়।
রিটে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থতা কেন অসংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এবং সারাদেশের সব কেন্দ্রে সেনাবাহিনী দিয়ে ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফল প্রকাশের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও এক দলের প্রার্থী অন্য দলের প্রতীক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি রিটকারী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে। রিটে ২০ দল বা ১৪ দল নামে জোট গঠন করে নির্বাচন করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
রিটে আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ১৪ দলের পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০ দলের পক্ষ বিএনপি মহাসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাশেদ খান মেনন, মির্জা আব্বাস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়।