কেরানীগঞ্জে সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে চিকিৎসককে হামলার অভিযোগ



২২২ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর মোবারক হোসেনসহ কয়েকজন চিকিৎসকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে বৃহ্স্পতিবার (৩ জানুয়ারি) মানববন্ধন করেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

তবে শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) মতিউর রহমান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মতিউর রহমানের এসিআর (বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন) নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। তার রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পাওয়া গেলে ইসিজি করার কথা বলা হয়। কর্তব্যরত টেকনেশিয়ান শার্ট খুলতে বললে রেগে যান। এরপর তিনি ডা. মীর মোশারফ হোসেনের কক্ষে ঢুকে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে ভূমি অফিসের নাজির রাকিব হোসেন ১০/১২ জনকে নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে সবাইকে গালিগালাজ ও হুমকি দেন। তারা ডা. জাকির হোসেন, ডা. আনোয়ার হোসেন ও ডা. মোরশেদের ওপর চড়াও হন।
এ ব্যাপারে মতিউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে মোবাইলে বলেন, ‘ইসিজির জন্য আমাকে কাপড়-চোপড় খুলে বিছানায় শুয়ে পড়তে বলেন লেডি অফিসার। আমি ওই জায়গাতে অপোজ করেছি যে আমি এটা করতে পারবো না। আমি জানতে চেয়েছি যে কোনও পুরুষ কি নেই, যে আমাকে ইজিসি করতে পারেন।’
তার দাবি, ‘জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে আমি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলাম এবং দায়িত্ববণ্টন নিয়ে তাদের আমার প্রতি কিছু ক্ষোভ ছিল।’ মতিউর রহমান বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে। উনিও বলেছেন, আমিও বলেছি।’ পরে সন্ধ্যার সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে বিষয়টা মিটমাট হয়ে গেছেও বলে দাবি করেন তিনি।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহে এলিদ মইনুল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে মোবাইলে বলেন, ‘এ ঘটনায় ঢাকা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসেছিল। তারা বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ১৫ দিনের সময় নিয়েছে।’
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. এহতেশামুল হক চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে মোবাইলে বলেন, ‘কেরানীগঞ্জের অফিসার্স ক্লাবের সবাই সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এর মধ্যে যদি ইউএনও কোনও ব্যবস্থা না নেন তাহলে তারা মামলা করবেন। আমরা মন্ত্রিপরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ পর্যন্ত অপেক্ষা করছি।’