শনিবার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত এক সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
আগামী বুধবার (৯ জানুয়ারি) থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এটি শেষ হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।
মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে মেলা প্রাঙ্গণে কোনও হকার-ভিক্ষুক থাকবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে মাসব্যাপী পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে। মেলার ভেতরে ও বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে প্রতিটি স্টলে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে হবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পাশে স্থাপন করা হবে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ সেন্টার।”
তিনি আরও বলেন, ‘মেলায় আগত দর্শনার্থীরা পৃথক পথে ভেতরে প্রবেশ ও বাহির হবেন। প্রবেশের পূর্বে অবশ্যই সবাইকে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। মেলা প্রাঙ্গণ ও তার আশপাশে থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরা দিয়ে পুরো মেলা এলাকা ও আশপাশ ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে। মেলা প্রাঙ্গণে মোটর সাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, টিকিট কালোবাজারি ও ইভটিজিং রোধে পুলিশের বিশেষ টিম সার্বক্ষণিক কাজ করবে। মেলার অভ্যন্তরে সুবিধাজনক স্থানে চারটি ‘হেল্প ডেস্ক’ স্থাপন করা হবে। মেলার অভ্যন্তরে থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা।
মেলার নিরাপত্তা বিধানে ডিএমপি সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এ জন্য যার যার অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার অনুরোধ করছি।’
বাণিজ্য মেলার নিরাপত্তা ও ট্রাফিক সমন্বয় সভায় ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (উপ পরিচালক, অর্থ) মোহাম্মদ আবদুর রউফ, গোয়েন্দা সংস্থা ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, সরকারি সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বাণিজ্য মেলার বিভিন্ন প্যাভিলিয়নের প্রতিনিধিসহ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।