সীমা নিটওয়্যারের চেয়ারম্যানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

সুপ্রিম কোর্টসোনালী ব্যাংকে ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের মেসার্স সীমা নিটওয়্যার অ্যান্ড ডায়িং প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ মিয়ার অব্যাহতির আদেশ বাতিল করে, তাকে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আর  দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর ফারুক।

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের সোনালী ব্যাংক মহিলা শাখা (বর্তমানে ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা) থেকে মেসার্স সীমা নিটওয়্যার অ্যান্ড ডায়িং প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে ৬৫ শতক জমি বন্ধক রাখা হয়। পরে পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকিং  নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে ১৩ কোটি ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৬ টাকা ঋণ গ্রহণ ও প্রদান করে, যা পরে সুদেমূলে ২২ কোটি ৪৯ লাখ ৬৬ হাজার ২১৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।

পরে অভিযোগটি অনুসন্ধান করে দুদকের উপ- পরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি তিন জনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— ওই ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক (বর্তমানে বরখাস্ত) মো. আবদুস সামাদ ও সিনিয়র অফিসার মো. সিরাজুল হক।

পরে ২০১৪ সালের ৩০ জুন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম তদন্ত করে মো. আবদুর রশিদ মিয়া ও মো. আবদুস সামাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত ২০১৮ সালের ১০ মে আবদুর রশিদ মিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্রের শুনানি নিয়ে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কিন্তু সেই অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে রিভিশন মামলা দায়ের করে। এরপর হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর এই বিষয়ে রুল জারি করেন। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) সেই রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় প্রদান করেন। এর ফলে আবদুর রশিদ মিয়াকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলাটি চলবে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।