জুলহাস-তনয় হত্যাকাণ্ড: টঙ্গী থেকে প্রধান সন্দেহভাজন গ্রেফতার

আসাদুল্লাহমার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা ও সমকামীদের অধিকার বিষয়ক সাময়িকী ‘রূপবান’-এর সম্পাদক জুলহাস মান্নান এবং তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আসাদুল্লাহ (২৫) কে টঙ্গী থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার সকালে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে একথা জানিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, জুলহাস ও তনয় হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছিল আসাদুল্লাহ। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার দাওরা প্রশিক্ষক ছিল সে। সংগঠনে ফখরুল,  ফয়সাল,  জাকির,  সাদিকসহ একাধিক নামে পরিচিত। ২০১৬ সালে উত্তর বাড্ডায় পুলিশের ওপর হামলা করে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সে সন্দেহভাজন। আনসারুল্লাহ টিমে যোগদানের আগে যশোরের নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সাথী ছিল সে।

এর আগে গত বছর ২২ জুলাই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের নামে আনসার আল ইসলামের (এবিটি) শুরা সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগান লেক সার্কাস এলাকার বাসায় ঢুকে জুলহাস ও তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। তারা যাওয়ার সময় তারা নারায়ে তাকবির ও আল্লাহু আকবর বলে স্লোগান দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, খুনিরা সংখ্যায় ছিল ৫ জন।

ওই সময় পুলিশ কর্মকর্তারা জানতে পারেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের একটি ‘স্লিপার সেল’ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। যারা ২০১৩ সাল থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ব্লগার, লেখক, প্রকাশক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের টার্গেট করে হত্যা করে আসছিল। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার অনুসারী আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশে আগে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে তাদের কার্যক্রম চালাতো। জুলহাস-তনয় হত্যাকাণ্ডের পর আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের শাখা আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস) টুইটার বার্তায় এর দায় স্বীকার করে।