হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় নজরদারি বাড়াবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক (ফাইল ছবি)

মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা দূর করতে ব্যর্থ হলে জেলা ও বিভাগীয় নেতৃত্বের ওপর তার দায় বর্তাবে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর থেকে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে প্রতিদিনের নজরদারি আরও কঠোর করা হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সময় মতো হাজির হচ্ছেন কিনা, যন্ত্রপাতিগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, ওষুধের অপ্রতুলতা আছে কিনা, পরিচ্ছন্নতা অভিযান সার্বক্ষণিক চলছে কিনা তা তদারকির জন্য মনিটরিং নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দুর্বলতা চিহ্নিত করে তা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে দেশের সব বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, ৬৪ জেলার সিভিল সার্জন এবং বিভিন্ন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘জেলা ও বিভাগীয় নেতৃত্বে যে কর্মকর্তাই থাকবেন তার দায়িত্ব হচ্ছে অধীনস্ত প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর তত্ত্বাবধান করা। এই দায়িত্বে কোনও গাফিলতি বা শৈথিল্য মেনে নেওয়া হবে না। যেকোনও সমস্যার দ্রুত নিরসনের লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি তাতে কেউ ব্যর্থ হন তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার বাধ্য।’

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্মত সেবা পৌঁছে দিতে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে সবাইকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী। মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যখাতের প্রতি গণমানুষের আস্থা আরও বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপকদের প্রতি নির্দেশ দেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক, জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়করা উপস্থিত ছিলেন।