শিক্ষা খাতের আইসিটি সেল শক্তিশালী করতে রাজস্ব খাতে যাচ্ছে ৪৮ জনবল

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতেরর আওতাধীন সরকারি প্রতিষ্ঠানের আইসিটি সেল গঠন ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ২০১৪ সালে শেষ হওয়া প্রকল্পের ৪৮ জন টেকনিক্যাল জনবলকে রাজস্ব খাতে নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি প্রস্তাবের পক্ষে সুপারিশ করেছে সরকারের প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি।

সম্প্রতি আইসিটি সেল শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ৪৮টি পদ রাজস্বখাতে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। এরই অংশ হিসেবে ২০১৪ সালের জুনে শেষ হওয়া ‘মাধ্যমিক শিক্ষা খাত উন্নয়ন প্রকল্প (এসইএসডিপি)’ এর ৪৮ জনবল রাজস্বখাতে নিতে প্রস্তাব করে মাউশি। এই প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ পদগুলো রাজস্বখাতে স্থানান্তরে জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নেয়। এরপর গত ২৯ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন প্রস্তাবের সারাংশ পাঠান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। প্রস্তাবটি গত সরকারের প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় উত্থাপন করা হলে প্রস্তাবের পক্ষে সুপারিশ করে কমিটি।

উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ড. জাহাঙ্গির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-২০১৫ নীতিমালা অনুযায়ী আইসিটি পেশাজীবীদের নিয়ে আইসিটি সেল স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। ওই নির্দেশনার ভিত্তিতে টেকনিক্যাল পার্সনদের রাজস্বখাতে নেওয়া হচ্ছে। এর আগেও নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে এসব জনবল নিয়োগ করা হবে।’ আইসিটি সেল শক্তিশালী করতে আরও টেকনিক্যাল জনবল প্রয়োজন বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব খাতে নেওয়া জনবলের মধ্যে ছয় জন প্রোগ্রামার, দুইজন সহকারী প্রোগ্রামার, ১০ জন কম্পিউটার অপারেটর এবং ৩০ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর রয়েছেন।

মাউশি সূত্রে জানা গেছে,‘মাধ্যমিক শিক্ষা খাত উন্নয়ন প্রকল্প (এসইএসডিপি)’ শেষ হওয়ার পর এই জনবল সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম-(সেসিপ) নিয়োজিত রয়েছে। রাজস্বখাতে স্থানান্তর হলে এই জনবল বিভিন্ন আইসিটি সেলে নিয়োগ করা হবে।