দুদকের কাছে সময় চেয়েছেন আবজালের দুই ভাই ও তিন শ্যালক

দুদক

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দরপত্র জালিয়াতি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের ঘটনায় অধিদফতরের হিসাবরক্ষক আবজাল হোসেনের সঙ্গে অভিযুক্ত তার দুই ভাই ও তিন শ্যালক দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হননি। আজ মঙ্গলবার ( ২২ জানুয়ারি) তাদেরকে তলব করা হলেও হাজির না হয়ে সময় আবেদন করেছেন তারা।

এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই পাঁচ কর্মচারীকে দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. সামছুল আলম তলব করেন।

অভিযুক্তরা হচ্ছেন  স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেনের দুই ভাই ফরিদপুর টিবি হাসপাতালের ল্যাব সহযোগী মো. বেলায়েত হোসেন ও মো. লিয়াকত হোসেন, তিন শ্যালক স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাখালী অফিসের গাড়িচালক মো. রফিকুল ইসলাম, একই অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. বুলবুল ইসলাম ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অফিস সহকারী মো. শরিফুল ইসলাম।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবরক্ষক আবজাল হোসেন। দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী শত শত কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

উপ-পরিচালক শামসুল আলম জানান, তাদেরকে তলব করা হয়েছিল। তারা তিন সপ্তাহের সময় আবেদন করেছেন। আবজাল হোসেনের সম্পদ নিয়ে দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ হাজার টাকার বেতন পেলেও ঢাকার উত্তরায় তার ও তার স্ত্রীর নামে বাড়ি আছে পাঁচটি। আরেকটি বাড়ি আছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। আর রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় আছে অন্তত ২৪টি প্লট ও ফ্ল্যাট। দেশে–বিদেশে আছে বাড়ি–মার্কেটসহ অনেক সম্পদ।

দুদকের অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, আবজাল হোসেন গত এক বছরে সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ২৮ বারেরও বেশি সপরিবারে সফর করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির পর্টার স্ট্রিট মিন্টুতে বাড়ি কিনেছেন, তার দাম দুই লাখ ডলারেরও বেশি। গত ১০ জানুয়ারি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। একই ধরনের ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (বাজেট) আনিসুর রহমানকে ১৪ জানুয়ারি দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। অধিদফতরের আরও দুই পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও তারা সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। তারা হলেন-পরিচালক ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক ডা. আবদুর রশীদ।