বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো

নিহত দিয়া খানম মীম ও আব্দুল করিম সজীব

রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন আদালতে কোনও সাক্ষী হাজির না হওয়ায় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

এর আগেও গত ১৩ জানুয়ারি সাক্ষ্য দিতে কোনও সাক্ষী আদালতে আসেননি। মামলায় এপর্যন্ত ৩৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল এসব তথ্য জানান।

মামলার আসামিরা হলেন— জাবালে নূর পরিবহনের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ, চালক মাসুম বিল্লাহ, হেলপার মো. এনায়েত হোসেন, চালক মো. জোবায়ের সুমন, অন্য বাস মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার মো. আসাদ কাজী। এদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. আসাদ কাজী পলাতক আছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

এর আগে, গত বছরের ২২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন এবং গত ২৫ অক্টোবর এই  আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত চার্জগঠন করেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম এই মামলায় ছয় জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে  দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। চার্জশিটে ৪১ জনকে সাক্ষী এবং ছয় ধরনের আলামত জব্দ দেখানো হয়, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি বাস এবং তিনটি ড্রাইভিং লাইসেন্স।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নেমে সেখানে দাঁড়ায়। এ সময় পেছন থেকে জাবালে নূরের আরেকটি বাস দ্রুতগতিতে ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুইজন শিক্ষার্থী এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।

ওই ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত মীমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম  মামলা দায়ের করেন।