আচরণবিধিতে যেসব বিষয় সংশোধন হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে লিফলেট বা হ্যান্ডবিলে শুধুমাত্র সাদাকালো ছবি ব্যবহার, হল সমূহে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে হল প্রাধ্যক্ষরা বিদ্যুৎ সরবরাহ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক নিরবিচ্ছিন্ন-নির্বিঘ্ন রাখার ব্যবস্থা করবে। প্রচারণার সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত রাখা হয়েছে।
এছাড়া সভা-সমাবেশ ও অডিটোরিয়ামে প্রচারণার সময় মাইক ব্যবহার করা যাবে, কোনও প্রকার স্থাপনা, দেয়াল, যানবাহন ইত্যাদিতে লিখন হ্যান্ডিবিল না লাগানোর বিষয়টি সংযোজিত হয়েছে। সমাবেশের অনুমতি গ্রহণের সময় সীমা ৪৮ ঘন্টার পরিবর্তে ২৪ ঘন্টা রাখা হয়েছে, গঠনমূলক সমালোচনার সুযোগ সব সময় রাখা হয়েছে, ছাত্র সংগঠনগুলোর কোনো নেতাকর্মীকে হয়রানি করা হবে না, ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, প্রয়োজনে আরও লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই ভোট কোন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে ৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ-কে আহ্বায়ক করে ৭-সদস্য বিশিষ্ট ‘আচরণবিধি প্রণয়ন কমিটি’ গঠন করা হয়েছে৷ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মোকাদ্দেম (এম এম আকাশ) এবং টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া।
আচরণবিধির একটি খসড়া তালিকা ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের কাছে দেওয়া হয়েছিল ৷ এ বিষয়ে তাদের কোনো প্রস্তাবনা থাকলে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছিল ৷ পরে সংগঠনগুলো গঠনতন্ত্র এবং আচরণবিধি সম্পর্কে তাদের প্রস্তাবনা লিখিতভাবে জানিয়েছে৷ সে প্রেক্ষিত সিন্ডিকেট সভায় এসব বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷