সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যা মামলায় হাইকোর্টে পাঁচজনের সাজা বহাল

সাংবাদিক গৌতম দাস

সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত ফরিদপুরের সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যা মামলার আপিলের রায়ে বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নয় আসামির মধ্যে পাঁচজনের সাজা বহাল ও চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

যাবজ্জীবন বহাল থাকা পাঁচ আসামি হলেন, আসিফ ইমরান, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, আসাদ বিন কাদির, আবু তাহের মো. মোস্তফা ওরফে অ্যাপোল বিশ্বাস এবং তামজিদ হোসেন বাবু। এছাড়া খালাস পাওয়া চার আসামি হলেন, আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কাজী মুরাদ, কামরুল ইসলাম আপন ও রাজিব হোসেন মনা। মামলার নয় আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি এ কে এম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। 

আদালতে দুই আসামি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া ও আবু তাহের মো. মোস্তফা ওরফে অ্যাপোলো বিশ্বাসের পক্ষে আইনজীবী হেলালউদ্দিন মোল্লা, আসামি তানজীর হোসেন বাবুর পক্ষে আইনজীবী আওলাদ হোসেন, আসামি আসিফ ইমরান, আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কামরুল ইসলাম আপন ও রাজীব হাসান মনার পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ আলী মোকাররম, আসাদ বিন কাদিরের পক্ষে আইনজীবী মো. আব্দুর রশীদ ও ওমর ফারুক এবং আসামি কাজী মুরাদের পক্ষে আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন-অর রশীদ।

ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কের সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ পরিবেশন করায় দৈনিক সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান গৌতম দাসের ওপর ক্ষুব্ধ ঠিকাদার গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী চক্র ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর ভোরে সাংবাদিক গৌতমকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

পরে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে ২০১৩ সালের ২৭ জুন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামিরা ছিলেন আসিফ ইমরান, আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কাজী মুরাদ, কামরুল ইসলাম আপন, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, রাজিব হোসেন মনা, আসাদ বিন কাদির, আবু তাহের মো. মোস্তফা ওরফে অ্যাপোল বিশ্বাস ও তামজিদ হোসেন বাবু। রায়ে আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে ফৌজদারি আপিল দায়ের করলে আদালত শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (৩০ জানুয়ারি) রায়ের দিন নির্ধারণ করেছিলেন।