মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল আজ। কিন্তু মামলাটি হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন আসামি মো. আমিনুল হক পক্ষের আইনজীবী। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজিরা দাখিল করেন তার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন আহমেদ।
এদিকে এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল উপস্থিত ছিলেন। তিনি শুনানিতে বলেন, ‘যেহেতু মামলাটিতে হাইকোর্টের স্থহিতাদেশ রয়েছে, তাই আমরা শুনানি করতে পারছি না। পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হোক। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।’
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এই মামলা করা হয়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন— সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত), সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মৃত), এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।