৮৫ শতাংশ বই প্রকাশ হয় ইমোশনালি: খন্দকার মনিরুল ইসলাম

খন্দকার মনিরুল ইসলাম

দেশের লেখক ও প্রকাশরা ইমোশনালি অনেক বই প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক ও ভাষাচিত্রের স্বত্বাধিকারী খন্দকার মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও একজন তরুণ পাবলিশার। প্রকাশক হিসেবে আমি দেখেছি বাংলাদেশে দুই ধরনের বই প্রকাশ হয়, ইমোশনাল এবং প্রফেশনাল। বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ বই প্রকাশ হয় ইমোশনালি। লেখকও ইমোশনাল এবং প্রকাশকও ইমোশনাল। ১০-১৫ শতাংশ বই হয় প্রফেশনালি।’

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর পান্থপথে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিওতে আয়োজিত ‘রয়্যালটি: লেখক-প্রকাশক মুখোমুখি’ শীর্ষক বৈঠকিতে এসব কথা বলেছেন খন্দকার মনিরুল ইসলাম।

নিজেও প্রচুর বই ইমোশনালি প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র প্রকাশকরা বলেছেন- কোনও প্রকাশক যদি ১০ বছর টিকে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে যে তিনি প্রকাশক হতে পারবেন। আমি যখন শুরু করি, তখন লেখককে পাণ্ডুলিপি নেওয়ার সময় নয়, যেদিন প্রকাশের বিষয়ে কথা বলি সেদিনই সাইনিং মানি দিয়েছি। আমি আসলে একজন পেশাদার প্রকাশক হওয়ার জন্যই শুরু করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল, বছরে বই করি ৫০-৭০টা এবং পুরোটাই ইমোশনালি করেছি।’

আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করে খন্দকার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সবাই বিখ্যাত হওয়ার জন্য লেখে না। আমি আমার প্রকাশনা জীবনে ৪-৫ জন লেখক পেয়েছি যারা বিখ্যাত হতে লিখেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেটা নয়। আজকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, এটা একটি সময়োপযোগী টপিক। এটা নিয়ে আলোচনা জরুরি। যত বেশি আলোচনা হবে সমাধানটা সেখান থেকেই আসবে। আমাদের পেশাদারিত্বের জায়গায় আসতে হবে। সেখানে আসলেই এসব সমস্যার সমাধান হবে।’

সাংবাদিক মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আরও অংশ নিয়েছেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) এর সহযোগী অধ্যাপক ও কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের (ইউপিএল) পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিন, লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ, লেখক ও বাংলা ট্রিবিউনের গবেষণা বিভাগের প্রধান শেরিফ আল সায়ার।

আরও খবর:

‘রয়্যালটি: লেখক-প্রকাশক মুখোমুখি’ শীর্ষক বৈঠকি চলছে

‘কারাগারের রোজনামচা’র জন্য ২০ শতাংশ রয়্যালটি দেওয়া হয়েছে: ড. শামসুজ্জামান খান