৯ বছর পর মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রদল


মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ নেতারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন ও কুশলাদি বিনিময় করেন (ছবি সংগৃহীত)

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিতের অংশ হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর পর মধুর ক্যান্টিনে গেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ২০-২২ জনের একটি গ্রুপ মধুর ক্যান্টিনে আসেন।

তারা ডাকসু নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করবেন।

এদিকে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের আগমনের খবর পেয়ে আগে থেকেই মধুর ক্যান্টিন এলাকায় অবস্থান নেন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীদেরও এ সময় মধুর ক্যান্টিন এলাকায় দেখা যায়।

ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করেই প্রথমে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনকে জড়িয়ে ধরেন। এরপর তারা ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রফ্রন্ট নেতাকর্মীদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন এবং মধুর ক্যান্টিনের এক পাশে অবস্থান নেন।

মধুর ক্যান্টিনে যাওয়ার বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা মনে করি আজ থেকে সহাবস্থানের যাত্রা শুরু হলো। তবে একদিন ক্যাম্পাসে আসলেই সহাবস্থান নিশ্চিত হয়েছে তা বলা যায় না। আমাদের সহাবস্থান পুরোপুরি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ডাকসুর তফসিল পেছানোর দাবি জানাচ্ছি।’

এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রায় নয় বছর পর ঢাবিতে প্রথম মিছিল করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ওইদিন সকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। এরপর তারা একঘণ্টা উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা এ সময় ডাকসু নির্বাচন তিন মাস পেছানোসহ সাত দফা দাবিতে ভিসিকে স্মারকলিপি প্রদান করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তারা ক্যাম্পাসে মিছিল করেন। মিছিলে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে ছাত্রদল সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল ও সমাবেশ করে। ওই বছরের ১৮ জানুয়ারি ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল বের করলে ছাত্রলীগের হামলার মুখে পড়ে। তখন সে সময়ের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এরপর আর ছাত্রদলকে ক্যাম্পাসে মিছিল করতে দেখা যায়নি। তবে এর পরের বছর (২০১১) ওই হামলার এক বছর পূর্তিতে হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রদল শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে। তবে পুলিশি বাধার কারণে ছাত্রদলের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।