ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য গঠিত কমিটিগুলোতে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ শিক্ষক নেই অভিযোগ করে এসব কমিটির পুনর্গঠন চেয়ে তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের জন্য গঠিত কমিটিগুলোতে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ শিক্ষক নেই। যাদের এসব কমিটিতে রাখা হয়েছে, তারা সবাই একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সমর্থক। তাই এসব কমিটিতে গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হোক।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সেখানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা একত্রিত হন। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজীব আহসান, ঢাবি শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকীসহ ছাত্রদলের ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী মধুর ক্যান্টিনে যান। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও। এছাড়া ছাত্র ইউনিয়নসহ কয়েকটি বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সেখানে ছিলেন।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজীব আহসান বলেছেন, ‘ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছে। আমরা শুধু ডাকসুকেন্দ্রিক ক্যাম্পাসে সহাবস্থান চাই না। আমরা চাই সবসময় ক্যাম্পাসে সহাবস্থান ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকুক। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে সহাবস্থান নেই। আমাদের নেতাকর্মীরা হলে থাকতে পারে না। সহাবস্থানের স্থায়ী সমাধান হোক এটাই চাই।’
রাজিব আহসান বলেন, ছাত্রদল চায় সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক এবং ছাত্ররা তাদের অধিকার ফিরে পাক। তিনি ডাকসু নির্বাচনের তফসিল পুনরায় ঘোষণার দাবি জানান। ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যৌক্তিক বিষয়গুলোকে সমর্থন করবো। কিন্তু প্রশাসন যেভাবে নির্বাচন করতে চাচ্ছে সেটিকে ছাত্রদল গণতান্ত্রিক মনে করছে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কিছু দাবি জানিয়েছিলাম। আশা করছি প্রশাসন আমাদের দাবিগুলোর ব্যাপারে আন্তরিক হবে।’
‘ছাত্রদলের মধ্যে শিবির ঢুকেছে’- ছাত্রলীগের এ অভিযোগের বিষয়ে আকরামুল হাসান বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে যাচাই-বাছাই করে পদ দিয়েছি। তাই ছাত্রদলের কমিটির মধ্যে কোনও শিবির নেই। তবে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে শিবিরের অভিযোগ করা হলে তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কিছুক্ষণ মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান করে চলে যান।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের শোডাউন