ভবন সংকটে ৬০০ শিক্ষার্থীর পড়ালেখা হুমকির মুখে



2222

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের মাতৃভাষা চর্চার পাশাপাশি দেশি ক্যারিকুলামে শিক্ষা দিতে রাস আল খাইমায় ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ইংলিশ প্রাইভেট স্কুল। প্রতিবছর এসএসসিতে শত ভাগ পাসের রেকর্ড গড়া ২৮ বছরের পুরনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ভবন সমস্যায় জর্জরিত। এতে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা হুমকির মুখে পড়েছে।
জানা গেছে, আমিরাতের নতুন শিক্ষা আইন অনুযায়ী স্কুল পরিচালনার জন্য পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন তৈরি করতে হবে। ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্যও রাখতে হবে আলাদা ব্যবস্থা।
একদিকে ভবন নির্মাণের তাগাদার পাশাপাশি ভিসা বন্ধ থাকায় নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও বেকায়দায় পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদ।
বাংলাদেশ ইংলিশ প্রাইভেট স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি পেয়ার মোহাম্মদ জানান, যে ভবনে পাঠদান চলছে সেটিকে অনুপযোগী ঘোষণা করেছে প্রশাসন। পুরনো ভবন ভেঙে নতুন ভবন তৈরি করতে হবে।
3333তিনি বলেন, “এর আগে ‘বঙ্গবন্ধু-শেখ জায়েদ ভবন’ নামে বাংলাদেশ সরকার ও স্কুলের অর্থায়নে ২৬০০ বর্গফুটের একটি ভবন তৈরি করা হয়। ওই ভবনের আদলে নতুন ভবন নির্মাণের নিদের্শনা এসেছে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।” সরকারি অর্থায়ন ছাড়া এটি সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
পেয়ার মোহাম্মদ বলেন, ‌‘দুবাই ও উত্তর আমিরাত কনস্যুলেটের কানসাল জেনারেল ইকবাল হোসাইন খান বাংলাদেশি এই প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে চেষ্টা করছেন। এক লাখ দিরহামে ভবনের নকশা করা হয়েছে। কিন্তু অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যয়বহুল ভবন নির্মাণের মতো টাকা নেই।’
স্কুলের পরিচালনা পরিষদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নতুন ভবনের কাজ শুরু হলেও বন্ধ রাখতে হবে শ্রেণি কার্যক্রম। কারণ, নির্মাণাধীন ভবনে পাঠদানের নিয়ম নেই এ দেশে।
পরিচালনা পরিষদের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ স্কুলের পাশেই আমিরাত সরকারের একটি পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে, সেখানে পাঠদান সম্ভব। এ ব্যাপারে দূতাবাস এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেটকে সহযোগিতা করতে হবে।
উল্লেখ্য, রাস আল খাইমা প্রদেশে প্রায় ৭৫ হাজার প্রবাসী রয়েছে। ঢাকা বোর্ডের অধীনে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় এই প্রতিষ্ঠানের ২৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।