বিশ্বে যুদ্ধ-সংঘাতে বছরে এক লাখ শিশু মারা যায়


সেভ দ্য চিলড্রেন
২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সশস্ত্র সংঘাতে সারা বিশ্বে কমপক্ষে পাঁচ লাখ শিশু মারা গেছে বলে সেভ দ্য চিলড্রেনের এক নতুন বিশ্লেষণে বলা হয়েছে। এই হিসেবে গড়ে প্রতি বছরে এক লাখ শিশু নিহত হয়েছে। জার্মানের মিউনিখে শুরু হওয়া ‘মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স’ উপলক্ষে সেখানে প্রকাশিত ‘স্টপ ওয়ার অন চাইল্ড’ শিরোনামের প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সেভ দ্য চিলড্রেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে শিশুমৃত্যুর কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে বলা হয়েছে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো (হাসপাতাল), স্বাস্থ্যসেবা ও সাহায্যের দুষ্প্রাপ্যতা, পয়ঃনিষ্কাশন অব্যবস্থাপনার মতো যুদ্ধ ও সংঘাতের পরোক্ষ প্রভাবের কারণে শিশুমৃত্যু ঘটে।
সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, সংঘাতপ্রবণ এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকায় না জন্ম নিলে বা ওই এলাকায় এই শিশুরা না থাকলে হয়ত তাদের মৃত্যু ঘটতো না।
প্রতিবেদনটিতে বলা বলছে, বর্তমানে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শিশু সংঘাত প্রভাবিত এলাকায় বসবাস করে যা গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক।
২০১৭ সালে সংঘর্ষের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, কঙ্গো (ডিয়ারসি), সিরিয়া, ইরাক, মালি, নাইজেরিয়া এবং সোমালিয়া।   
প্রতিবেদনটিতে এ সমস্যা নির্মূলের জন্য বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ কমানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন বিষয়ে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল এর সিইও হেলে থর্নিং স্মিথ বলেন, “প্রতিবেদন করতে গিয়ে দেখা যায় যে এই সময়ে যুদ্ধগুলোয় যে প্রক্রিয়ায় লড়াই হয় তা শিশুদের জন্য কষ্টের। যুদ্ধে শিশু হত্যা এবং লাঞ্ছিত হওয়ার সংখ্যাও তিনগুণ বেশি। এই একুশ শতকে এসে ‘যুদ্ধাবস্থায় শিশু ও বেসামরিক কাউকে লক্ষ্যবস্তু করা যাবে না’ এই নীতি থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। আমাদের প্রতিবেদনের বিশ্লেষণে স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে শিশুদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে এবং এই বিশ্ব সেটি ঘটতে দিচ্ছে। প্রতিদিন সশস্ত্র দলগুলো এবং সামরিক বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি লঙ্ঘন করছে।”