পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে এক জঙ্গির আত্মহত্যার চেষ্টা!

শেখ গোলাম হোসেন ওরফে মিলাদকাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)-র ছয় তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল এক জঙ্গি। তার নাম শেখ গোলাম হোসেন ওরফে মিলাদ। সে নব্য জেএমবির সদস্য বলে জানা গেছে। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে আশঙ্কামুক্ত। বৈদ্যুতিক তারের ওপর বাড়ি খেয়ে নিচে পড়ায় তার পায়ের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। সোমবার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে এই ঘটনা ঘটে।

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম- সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই আসামি রিমান্ডে ছিল। মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করার কথা ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে দৌড়ে গিয়ে ছয় তলা থেকে লাফ দেয়। তার বিরুদ্ধে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় পালানোর চেষ্টার জন্য পুলিশ আইনের ২২৪ ধারায় আরেকটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।’

সিটিটিসি সূত্র জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ডেমরা এলাকা থেকে মিলাদ নামে জঙ্গিকে গ্রেফতার করে সিটিটিসির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সে বাথরুমে যেতে চায়। এসময় দুই জন কনস্টেবল তাকে বাথরুমে নিয়ে যায়। বাথরুম থেকে বের হয়ে জঙ্গি মিল্লাত দুই কনস্টেবলকে ঘুষি মেরে এক দৌড়ে ছয় তলার মাঝখানের করিডরের খোলা জানালা দিয়ে লাফ দেয়। তবে ফুটপাতের পাশের ইলেকট্রিক তারের ওপর বারি খেয়ে সে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাইক্রোবাসের ওপরে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সিটিটিসির একজন কর্মকর্তা জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ডিএমপি’র সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের কাছে একটি ই-মেইল আসে। সেখানে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টার্গেট কিলিং ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করে বৈঠক করার কথা উল্লেখ করা হয়। ওই তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল মাদরাসা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আল-আমিন নামে এক জঙ্গিকে আটক করা হয়। আল-আমিনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সন্ধ্যায় ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মিলাদকে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, মিলাদ আব্দুস সালাম ও ফয়জুল্লাহ নামে আরও দুই জঙ্গির সঙ্গে মিলিত হয়ে জঙ্গি কার্যক্রম ও জঙ্গিবাদী অনলাইনে জঙ্গিবাদী প্রপাগান্ডা প্রচার করতো। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানাধীন দুর্লভপুর এলাকায়।