নারায়ণগঞ্জে ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে ধর্ষণ, একজন গ্রেফতার



গ্রেফতার সাহাদাত হোসেননারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে হোটেল তাজমহল পিরামিডে এক কিশোরী (১৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা সাহাদাত হোসেন (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১।

গত ২৪ জানুয়ারি বিয়ের নামে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ঘটনায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি কিশোরীর মা বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।
র‌্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদি জানান, র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার সাহাদাত ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা ও ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে।
তিনি জানান, বিয়ে দেওয়ার কথা বলে রূপগঞ্জের বাসিন্দা সাহাদাত হোসেন ওই কিশোরীকে মোবাইল ফোনে পরিচয় করিয়ে দেয় সুমন নামে একজনের সঙ্গে। সম্পর্কের একপর্যায়ে তারা দেখা করতে আসে সোনারগাঁওয়ে। তখন সুমনের জায়গায় কিশোরীর সঙ্গে দেখা করে সাহাদাত। একপর্যায়ে কিশোরীকে কৌশলে হোটেল তাজমহলে নিয়ে যায় এবং নেশা ও উত্তেজক জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে তাকে ধর্ষণ করে সাহাদাত।
আসামি সাহাদাতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, দুই-তিন মাস আগে দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে বিয়ের কথা বলে ভিকটিমকে সুমনের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেয় সাহাদাত। ভিকটিম ও সুমনের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথোপকথন চলতে থাকে। এরই মধ্যে সাহাদাত ভিকটিমকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করার পরিকল্পনা করে। এরপর সুমন ভিকটিমকে গত ২৪ জানুয়ারি দুপুরের দেখা করতে বলে। সে অনুযায়ী ভিকটিম সোনারগাঁও থানাধীন পেরাব এলাকায় গেলে সাহাদাত নিজেকে সুমন পরিচয় দিয়ে দেখা করে। একপর্যায়ে ভিকটিমের সরলতার সুযোগ নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে তাকে হোটেল তাজমহল পিরামিডে (রাজমনি পিরামিড) নিয়ে যায় সাহাদাত।
আগে থেকেই হোটেলে একটি রুম ভাড়া করা ছিল উল্লেখ করে মেজর মেহেদি জানান, হোটেলের একটি কক্ষে সাহাদাত কোমল পানীয় এবং জুসের সঙ্গে উত্তেজক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে ভিকটিমকে পান করায়। পরে অস্বাভাবিক অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করে এবং তা ভিডিওতে ধারণ করে। ভিকটিমকে ওই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যামেইল করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে যে ভিকটিম ঘটনা গোপন রাখবে।