জালিয়াতি করে সরকারি সম্পত্তি বিক্রির মামলায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

দুদক



জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ২৯৪ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি বেআইনিভাবে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কাছে বেচার অভিযোগে দায়ের মামলায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি, রেজিস্ট্রার ও সেটেলমেন্ট অফিসের আটজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এই অনুমোদন দেওয়া হয়।


রাজধানীর গুলশানের কড়াইলে সরকারি ৬.৬৭৫৬ একর সম্পত্তি বেআইনিভাবে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে দিতে ৯১ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন হয়। এ ঘটনায় ২০১১ সালের ২ নভেম্বর গুলশান মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
দুদকের সাবেক উপপরিচালক আবদুল আজিজ ভূইয়া, উপপরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূইয়া ও সৈয়দ আহমেদ মামলাটি তদন্ত করেন।
মামলার আসামিরা হলেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের সদস্য (প্রশাসন) মো. কামরুল আলম, পরিচালক (সংগঠন ও পদ্ধতি) আবু বকর মো. মমশাদ মাশরেকী, নোয়াখালী জেলা রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইয়াকুব, গুলশানের সাব-রেজিস্ট্রার (সাময়িক বরখাস্ত) মো. হেলালউদ্দিন, সেটেলমেন্ট প্রেসের উপসহকারী সেটেলমেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম, আবুল কাশেম, কম্পোজিটর (পেশকার) মো. আলী আকবর খান, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার তপন চৌধুরী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হোসাইন মোহাম্মদ মামুন, আমিন (অব.) নিজামুল হায়দার চৌধুরী, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক লিগ্যাল অ্যাডভাইজার মো. শহীদুল ইসলাম, ঢাকা সদরের দলিল লেখক নাসিরউদ্দিন আহম্মদ, ঢাকার তেজগাঁওয়ের বাসিন্দা মো. ওসমান গনি, নাজমা বেগম, ফরিদপুরের শাহনাজ মামুন, লাক্সারি হাউজিং লিমিটেডের মালিক শহীদুজ্জামান চৌধুরী, লে. কর্নেল মো. দিদারুল আলম (অব.), নরসিংদীর বাসিন্দা টি এম শামছুত তাবরিজ চৌধুরী, মাদারীপুরের সৈয়দ ছানোয়ার হোসেন, মোল্লা গাজী সালাউদ্দিন আহম্মেদ, মঞ্জুর আহম্মদ, মো. বাচ্চু মিয়া, মো. বেলায়েত হোসেন লিটন মাঝি ও সৈয়দ জিয়াউদ্দিন হোসেন।