ব্যর্থ কর্মকর্তাদের বেতন থেকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা থাকা উচিত: দুদক চেয়ারম্যান

বক্তব্য রাখছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব জনগণকে সেবা দেওয়া। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জনগণকে সেবা দিতে পারছেন না। যারা সেবা প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছেন, তাদের বেতন থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সেগুন বাগিচায়  প্রধান কার্যালয়ে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় ইকবাল মাহমুদ দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘আপনারা কেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষ করতে পারছেন না। দুদকে যারা অভিযোগ জমা দেন, তারা কতটুকু প্রতিকার পান? তদন্ত বা অনুসন্ধান সম্পন্ন করতে না পারলে; দুদকের সংশ্লিষ্ট কমকর্তাদের বেতন-ভাতা থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ  আদায় করা যায় কিনা, তা ভেবে দেখা হবে।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমরা ইতিহাস জানি, কিন্তু তা মানি না। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হয় জানি, কিন্তু নেই না।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব এবং আমিত্বের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব রয়েছে। ফলে সহযোগিতার পরিবর্তে অসহযোগিতার মনোভাব দেখা যায়। সবাই মিলে একই লক্ষ্য অর্জনে সম্মিলিতভাবে কাজ না করলে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো অসম্ভব।’

দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘ভুল স্বীকারে লজ্জার কিছু নেই। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তবে সব ভুলকেই অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে চালিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।’

সভায় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘একুশের চেতনাকে ধারণ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে।’ একুশের চেতনাকে শুধু মুখে উচ্চারণ না করে, আচরণেও এর প্রতিফলন ঘটানোর আহ্বান জানান তিনি।

দুদক সচিব মোহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত বলেন, ‘নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।’

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ, পরচিালক  গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ও উপ-পরিচালক মো. তালেবুর রহমান প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন— দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, মহাপরচিালক (লিগ্যাল) মো. মইদুল ইসলাম, মহাপরিচালক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক ও উপ-পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা।