উত্তরায় শিশুর লাশ নিয়ে ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ

উত্তরায় শিশুর লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ

রাজধানীর দক্ষিণখানে রিফাত (৭) নামে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ তুলে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে উত্তরায় রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে সড়ক আবরোধ করেছেন স্থানীয়রা। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে শতাধিক মানুষ সড়কে বিক্ষোভ করেন। সড়ক অবরোধের কারণে টঙ্গী-বিমানবন্দর সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা সড়ক থেকে লাশ নিয়ে চলে যান।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনের সড়কে হাজারো মানুষ জড়ো হন। শিশুর স্বজনদের পাশাপাশি পোশাক শ্রমিকরাও বিক্ষোভে যোগ দেন। তারা শিশু রিফাতের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দক্ষিণখান থানার দক্ষিণ আজমপুরের আমির উদ্দিন সড়কের ৫৬/২ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গেই থাকতো রিফাত। তার বাবার নাম আবদুর রশিদ। গত সোমবার বিকালে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় তাকে ওই এলাকার বাড়ির মালিক অজিৎ কুমার বসাক নামে এক ব্যক্তি হত্যা করেছে। এরপর লাশ পানির ট্যাংকের ভেতরে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্ত বাড়িওয়ালাকে গ্রেফতার করছে না।
শিশুটির বাবা রাজমিস্ত্রি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘ঘটনার পরপরই আমরা পুলিশকে বাড়িওয়ালাকে গ্রেফতার ও মামলা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ তখন আমাদের কথা শোনেনি।’
দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল গনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, অনেক খোঁজাখুঁজির পর মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ও স্থানীয়রা রিফাতের লাশ উদ্ধার করে। এরপর পুলিশ লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। রাতেই এ ঘটনায় অজিৎ কুমার বসাক (৫৫) ও তার স্ত্রী রেখা রানী বসাককে (৪৫) আসামি করে একটি মামলা হয়। মামলা নম্বর ৪৯। বুধবার দুপুরে রিফাতের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দক্ষিণখানে নিয়ে যাওয়ার সময় রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করেন।
শফিকুল গনি বলেন, ‘আমরা নিহত শিশুর পরিবারের সঙ্গে ঘটনার পর থেকেই আছি। তাদের আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মামলা নেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আমরা আশ্বাস দেওয়ার পর শিশুটির স্বজন ও পরিবার তার লাশ নিয়ে সড়ক থেকে চলে যায়। লাশ দাফন করা হয়েছে।’
পুলিশের দক্ষিণখান জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নূরুল আলম বলেন, ‘শিশুর স্বজন ও পরিবার যে অভিযোগ করছেন তা সঠিক না। তারা এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি বাড়িওয়ালা অজিৎ ও তার স্ত্রী। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’