ডাকসু নির্বাচন: ৩১ জনের মনোনয়ন বাতিল

ডাকসু (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে ৩১ জনের মনোনয়ন বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে সাত জন কেন্দ্রীয় সংসদ এবং ২৪ জন হল সংসদের পদপ্রার্থী ছিলেন। ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নোটিশ বোর্ড ও ডাকসুর ওয়েরসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

যাচাই-বাছাইয়ে পর ভোটার তালিকায় নাম না থাকা, দেরিতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন এই ৩১ জন।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার মধ্যে জমা দেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে ২৩৭ জন ও ১৮টি হল সংসদের ১৩টি পদে ৫৯৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।

প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী ভিপি পদে লড়বেন ২০ জন, জিএস পদে ১২ জন, এজিএস পদে ১৩ জন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯ জন, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৩ জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১২ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১০ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৫ জন এবং সদস্য পদে ৮৮ জন।

ভোটার তালিকায় নাম থাকায় বাদ পড়েছেন ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবদুল্লাহ জায়িদ, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী (জিএস) উম্মে হাবিবা বেনজীর ও এ আর এম আসিফুর রহমান। একই কারণে সদস্য পদপ্রার্থী ইশাত কাশফিয়া ইরা, হায়দার মুহাম্মদ জিতু, শাফায়াত হাসনাইন সাবিত ও রাইহান খানের মনোনয়নপত্রও বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া, শামুসন্নাহার হলের সহ-সভাপতি প্রার্থী জিয়াসমিন শান্তা, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সহ-সভাপতি প্রার্থী নাহিদ, জসিমউদদীন হলের সহ-সভাপতি তৌহিদুর রহমান তাজ, শামসুননাহার হলের সহ-সভাপতি প্রার্থী মানসুরা হোসাইনের মনোনয়নপত্র প্রাথমিকভাবে বাতিল করা হয়েছে।

প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান জানান, তালিকার বিষয়ে কোনও আপত্তি থাকলে আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে লিখিতভাবে হল প্রশাসনকে জানানো যাবে। লিখিত অভিযোগ যাচাইবাছাই শেষে আগামী ৩ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর শুরু হবে প্যানেলগুলোর আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।