সরেজমিনে দেখা গেছে, ছোট ছোট ও বহুতল ভবনের নিচতলায় জুতা ও পানির বড় বোতল তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। এসব কারখানায় বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ঝুঁকিপূর্ণভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে।
শহীদ নগরের ২৫২ নম্বর বাড়িতে আবাসিকের কথা বলে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে পানির বড় বোতল তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন আমিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। কারখানার ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, পানির বড় বোতল তৈরির জন্য প্লাস্টিকের গুড়া, প্লাস্টিক ও বোতল ছড়িয়ে আছে।
শহীদ নগরের ২৯০/২ নম্বর বাসায় প্লাস্টিক গলিয়ে জুতার সোল তৈরি করা হয়। এই কারখানায় স্পিরিটের মজুত পেয়েছে সিটি করপোরেশনের টিম। বিস্ফোরক অধিদফতরের কর্মকর্তারা এরপর এই কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেন। তবে ওই কারখানার মালিককে পাওয়া যায়নি।
২৯ আরএনডি রোডের একটি জুতার কারখানা তালাবদ্ধ অবস্থায় পেয়েছে অভিযানে থাকা টিমটি। এরপর সেটিরও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়। শহীদ নগরের ৪ নম্বর সড়কের একটি বহুতল ভবনের নিচে প্লাস্টিকের রশি তৈরি করা হয়। পুরো কারখানায় প্লাস্টিকের দাহ্য প্রদার্থ।
তিনি জানান, এর আগেও এসব কারখানার মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেনি। আজকে আমরা তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। কারখানা সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারখানা না সরালে পরবর্তীতে আরও কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।