পরে এর প্রতিবাদ জানিয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা সংক্ষিপ্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। কোনও তর্ক ছাড়াই ধাওয়া করা হয়েছে বলে জানান ছাত্রসমাজের নেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রসমাজের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী বেলা সোয়া ১২টার দিকে মধুর ক্যান্টিনের সামনে নির্বাচনি প্রচারাভিযান করতে আসেন। এ সময় তাদের লাঠি-সোঁটা নিয়ে ধাওয়া করেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। ধাওয়া খেয়ে এরশাদপন্থী নেতাকর্মীরা দৌড়ে চলে যায়।
মিছিল শেষে সমাবেশও করে মোর্চা এই ছাত্রজোট। সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনকে পুনর্বাসন করতে চাইছে। আমরা এটা কোনোদিন মেনে নেবো না। যখন ছাত্রসমাজ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে, তখন আমরা এর প্রতিবাদও জানিয়েছি। তারপরও প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে এসব সংগঠন ক্যাম্পাসে এসে প্রচারণা চালানোর বৈধতা পেয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
ছাত্রসমাজের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সুলতান জিসান উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রচারণা চালাচ্ছি। কিন্তু বামপন্থীরা আমাদের প্রচারণায় বাধা দিয়েছে। তারা আমাদের ধাওয়া দিয়েছে। প্রশাসনকে ঘটনাটি অবহিত করেছি। প্রশাসন আমাদের বলেছে নির্বাচনটা যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে জন্য আমাদের সবার সহযোগিতা চেয়েছে। তাই আমরা বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের কাউকে কোনও ধরনের আঘাত করিনি। কিন্তু তারা যে আচরণ আমাদের সঙ্গে দেখিয়েছে তা খুবই দুঃখজনক।’
পরিবেশ পরিষদের সভায় অলিখিতভাবে ছাত্রসমাজকে নিষিদ্ধ করার কথা বলে আসছে কয়েকটি ছাত্রসংগঠন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে নিষিদ্ধ করা হয়নি। এবারের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রসমাজ প্যানেল ঘোষণা করেছে। এ প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী নকিবুল হাসান নিলয় এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মো. মামুন ফকির। ছাত্রসমাজের প্যানেল থেকে শুধু এ দুটি পদে প্রার্থী রাখা হয়েছে।